সর্বশেষ ঘোষণা

নোটিশ বোর্ড

সকল

প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

image-not-found

১. ইলমে ওয়াহী ও উলূমে নবুয়্যতের বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান চর্চার লক্ষ্যে কুরআন, হাদীস, তাফসীর, ফিক্হ, আকাইদ, কালাম ও তাসাউফ এর শিক্ষাদান এবং এ সকল বিষয়ের জন্য সহায়ক বিষয়গুলো যথা উসূলে তাফসীর, উসূলে হাদীস, উসূলে ফিক্হ, আরবী সাহিত্য, ইলমে নাহব, ইলমে ছরফ, ইলমে বালাগাত, ইলমে আরুজ সহ হিকমাত (বিজ্ঞান), ফালসাফা (দর্শন), তর্কশাস্ত্র, সমাজ বিজ্ঞান, বাংলা, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, পৌরবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের শিক্ষাদান।
২. শিক্ষার্থীরা যেন জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গভাবে সুন্নাতের অনুসারী এবং আকাবির ও আসলাফেল আদর্শ ও চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠতে পারে, তজ্জন্য প্রয়োজনীয় তারবিয়াতের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদেরকে চরিত্রবান, আদর্শ, ভদ্র ও সমাজ সচেতন নাগরিকরূপে গড়ে তোলার বাস্তব প্রশিক্ষণ দান ।
৩. শিক্ষার্থীরা যেনসর্বক্ষেত্রে দ্বীনের প্রচার প্রসারে আত্মনিয়োগ করতে পারে, সেজন্য তাদেরকে ভাষা সাহিত্যে, বক্তৃতায়, দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে পারদর্শী করে গড়ে তোলা।
৪. ইসলামী আদর্শ, তাহযীব ও তামাদ্দুনের ব্যাপক প্রচার প্রসারের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ্র্মুখী ও আল্লাহ্ দ্বীনের অনুসারী করে গড়ে তোলার যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহন করা এবং সমাজের মানুষের ঈমান আকীদা সংরক্ষণের জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং সকল প্রকার শরীয়ত বিরোধী মতাদর্শ সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করা।
৫. আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত করার নিমিত্তে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের নিকট দ্বীনের দাওয়াত ও প্রয়োজনীয় দ্বীনী জ্ঞান পৌছে দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন কামিয়াবী অর্জন করা।
৬. শিক্ষার্থীদেরকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষার উদ্দেশ্য লক্ষ্য ব্যহত না হয় এমন ধরনের কারিগরী শিক্ষার ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে ঝড়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কারিগরী শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
মোট কথা উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে জাগতিক শিক্ষার সর্বোচ্চ অধ্যায় পাঠদান এবং ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে কুরআন সুন্নাহ্র সকল শাখায় শিক্ষার অর্ন্তভুক্ত করা এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
অনুচ্ছেদ - ৫
প্রতিষ্ঠানের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি: এই প্রতিষ্ঠান কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কেরামের জীবনাদর্শের আলোকে গড়ে ওঠা ইসলামী ভাবাদর্শের পূর্ণ অনুসারী থাকবে। ‘মা আনা আলাইহি ওয়া আসহাবী' ( আমি ও আমার সাহাবীরা যে মত ও পথের উপর প্রতিষ্ঠিত) - এর পূর্ণাঙ্গ অনুসরণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, সুলাহায়ে উম্মত তথা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামআতের চিন্তাধারার উপর সদা প্রতিষ্ঠিত থাকবে। সকল হকপন্থী মাজহাব ও দলমতের প্রতি উদার ও সহনশীল মানসিকতা পোষণ করবে। আধ্যাত্মিক ধারার সূফীবাদের অনুসরণে স্বীকৃত চার আধ্যাত্মিক ধারা যথা- চিশতীয়া, কাদেরিয়্যাহ, নকশবন্দিয়াহ, মুজাদ্দেদীয়্যাহ ও তাদের অনুসারী কুসংষ্কারমুক্ত সকল দলমতের প্রতি উদার ও সহনশীল মনোভাব পোষণ করবে। আকীদাগত দিক থেকে আবুল হাসান আশআরী ও ইমাম মাতুরিদী (রহ.) এর ব্যাখ্যার আলোকে গড়ে ওঠা আকাইদে বিশ্বাসী থাকবে। চিন্তাধারার ক্ষেত্রে শাহ ওয়ালী উল্লাহ (রহ.) এর চিন্তাধারার আলোকে গড়ে ওঠা আকাবির ও উলামায়ে দেওবন্দের অনুসৃত নীতি ও আদর্শকে মেনে চলবে। এই প্রতিষ্ঠানের সকল সিদ্ধান্ত ফিকহে হানাফীর আলোকে গৃহীত হবে।

সভাপতির বাণী

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ মরহুম অধ্যাপক মাওলানা মোঃ ইয়াছীন সাহেবও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন সাতানী ইউনিয়নস্থ মঙ্গলকান্দি গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা। সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি ২০২২খ্রিস্টাব্দে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!

অধ্যক্ষের বাণী

image-not-found

এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে কুমিল্লা জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।